আমাদের শরীরের দীর্ঘতম অঙ্গ হলো ত্বক। এটি দেহের সৌন্দর্যের অঙ্গ হিসেবেও পরিচিত। দেহের ব্যারিয়ার হিসাবে কাজ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ত্বক।আমরা সকলেই দীপ্তিময় ত্বকের অধিকারী হতে চাই।সাধারণত টিনএজ থেকেই আমাদের ত্বকে বিভিন্ন পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তাই তখন থেকেই ত্বকের প্রয়োজনীয় যত্ন নেয়া শুরু করা উচিত।ত্বকের যত্ন প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম দুই উপায়েই নেয়া সম্ভব। প্রাকৃতিক মানে প্রতিদিন নিয়মিত সাধারণভাবে ত্বকের যত্ন নেয়া। আমরা সকলেই কম বেশি প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি। কৃত্রিম মানে প্রাকৃতিক নিয়মকানুনের পাশাপাশি কিছু প্রসাধনী ব্যবহার করা।আর সেই যত্নটা নিতে হবে অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে।সাধারণত চার ধরনের ত্বক আমরা দেখে থাকি। নরমাল, শুষ্ক, তৈলাক্ত এবং সেনসিটিভ। কিছু মানুষের আবার মিশ্র ত্বকও থাকতে পারে। অনেকের ত্বক বংশগতভাবে সহনশীল ও সুরক্ষিত। তাই ত্বকের সঠিক পরিচর্যার ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতেই হবে।কারণ সব প্রোডাক্ট সব ধরনের ত্বকের সাথে যায় না।
আজকাল বাজারে পাওয়া
যাচ্ছে নানা ধরণের সস্তা
ও নিম্নমানের প্রসাধনী। যা
ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলছে।
অনেক সময়ই দেখা যায়,
দামে সস্তায় পাওয়া যাওয়ার
কারণে অনেকেই আনকোরা নতুন
ব্র্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী কিনে থাকে।
অনেক সময়েই এর কারণে
ত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।কারণ,
সস্তা ও নকল প্রসাধনীর
নিম্নমানের রাসায়নিকের প্রভাবে ক্ষতি হতে পারে
শরীরের।নানা
ধরণের চর্মরোগ থেকে শুরু করে
ক্যান্সারের মতো মারাত্বক রোগও
সৃষ্টি হচ্ছে এর প্রভাবে। নতুন
কোনও ব্র্যান্ডের প্রসাধনী, যা আপনি আগে
কখনো ব্যবহার করেননি, না কেনাই ভালো৷
কারণ আপনার পক্ষে বোঝা
সম্ভব নয়, আদৌ ওই
প্রোডাক্টটি আপনার ত্বকের পক্ষে
ভালে কিনা৷ বরং যে
প্রসাধনী আপনি আগেই ব্যবহার
করেছেন, সেটি কেনাই উত্তম।এক্ষেত্রে,
বাজারে প্রোডাক্টের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে কেনাটাই
অধিক সুবিধাজনক।এতে
ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
খুবই কম।
সুপ্রসিদ্ধ প্রসাধনীসমূহ বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে প্রস্তুতকৃত এবং পরীক্ষিত।
এসকল প্রসাধনী প্রস্তুতকরণে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার এড়িয়ে চলা হয়। ফলে,
এসকল সামগ্রী সাধারণভাবে শরীরে তেমন কোন
ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে না। যার
ফলে এসকল সামগ্রী জনমনে
সহজেই জায়গা করে নিতে
পারছে। প্রসিদ্ধ
ব্র্যান্ডসমূহ তাদের সর্বোচ্চ সেবা
দানের মাধ্যমে বাজারে আস্থা অর্জন
করতে সক্ষম হচ্ছে।
ত্বকে রক্ত চলাচল
সচল থাকে। ত্বকের
রক্ত সঞ্চালন প্রবাহ ভালো থাকলে
ত্বক দ্রুত উজ্জ্বল হয়। নিম্নমানের
প্রসাধনীসমূহ ত্বকের রক্ত সঞ্চালন
প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, ত্বকের
উজ্জ্বলতা হ্রাস করে।
ফলে প্রসাধনী ব্যবহারে সাবধান হওয়া উচিত। ত্বকের
যত্নে সুপ্রসিদ্ধ প্রসাধনীর বিকল্প নেই।
সতেজ ত্বক প্রফুল্ল মন
তৈরি করে। ত্বক সতেজ হবে
তখনই, যখন সুপ্রসিদ্ধ প্রসাধনীর
পরীক্ষিত আস্থায় ভরসা রাখবেন
আপনি। তাই
ত্বকের যত্নে সুপ্রসিদ্ধ প্রসাধনী
ব্যবহার করে নিজে থাকুন
নিশ্চিন্ত, পরিবারকেও রাখুন নিরাপদে।
এবং অন্যকেও উৎসাহিত করুন।
নিচে রয়েছে কিছু
ভাল মানের সুপ্রসিদ্ধ প্রসাধনী: