Monday, August 7, 2017

পুরুষদের পছন্দের ৫টি পারফিউম


মনকে সতেজ এবং প্রাণবন্ত রাখার ক্ষেত্রে পারফিউমের জুড়ি নেয়। সবাই নিজেকে সতেজ রাখতে কোন না কোন পারফিউম ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে পৃথিবীতে হরেক রকম পারফিউমের ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে। আমরা তার মধ্য থেকে ব্যবহার এবং বেশী প্রচলিত উপর ভিত্তি করে ৫টা পারফিউমের নাম নির্বাচন করেছি। 

ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় আকুয়া ডি জিও (ইউ জোর্জিও আরমানি) কথায়। বিশ্বের অধিকাংশ মেল সেলিব্রিটির প্রথম পছন্দ হচ্ছে আকুয়া ডি জিও। পারফিউমটির বিশেষত্ব হলো এর ঘ্রাণ মেয়েদের প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। অনেকটা নিকোটিন ফ্লেভারের আকুয়া ডি জিওর দামও আকাশছোঁয়া। ১৯৯৬ সালে বাজারজাত হওয়া আকুয়া পারফিউমটি ২০১১ সালে আমেরিকার বেস্ট সেলার হিসেবে একচেটিয়া বাণিজ্য করেছে

অবসেশন 
ছেলেদের পারফিউমে এর পরের অবস্থান রয়েছে অবসেশন (ইউ কেলভিন ক্লেইন) ১৯৮৬ সালে প্রথম বাজারে আসা অবসেশন পারফিউমটি বয়স্ক পুরুষদের কাছে অধিক পছন্দনীয়


এখন বলব বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ম্যান্স পারফিউম ওয়ান মিলিয়নের (ইউ পাকো রাবাননে) কথা। বাজারজাতের প্রথমে ওয়ান মিলিয়নের খুব বেশি ব্র্যান্ডভ্যালু না থাকলেও ২০০৮ নালে ওয়ান মিলিয়নে গোল্ডেন ফ্রেগন্যান্স সংযুক্ত হওয়ার পর থেকে পৃথিবীব্যাপী সর্বাধিক বিক্রীত মেন্স পারফিউমের মধ্যে অন্যতম। ওয়ান মিলিয়ন দামে কিছুটা কম এবং এর গন্ধটাও মন মাতানো

বস সত্যি ছেলেদের জন্য একটি বস পারফিউম। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই বসের পারফিউম পাওয়া যায়। জার্মানিতে তৈরি বসই সর্বাধিক ৭টি ফ্লেভারে (অরেঞ্জ ম্যান, সিলেকশন, সোল, পিউর, কালেকটরস এডিশন, বটলড বটলড নাইট) পারফিউম বাজারজাত করে থাকে

মেন্স পারফিউমের সেগমেন্টের ডেভিডভ কথা বলতেই হয়। দুটি ফ্লেভার ডেভিডভ বাজারজাত করা হয়। একটি ডেভিডভ কুল ওয়াটার অন্যটি ডাভিডফ হট ওয়াটার। দুটি ফ্লেভার দুই ধাঁচের।
ম্যান্স পারফিউমের শীর্ষ পাঁচে রয়েছে আজজারো ক্রোম (ইউ আজজারো লরিস) প্যারিসের দুনিয়া মাত করা এই পারফিউমের বিশেষত্ব হলো লাগানোর পরে খুবই সতেজ একটি অনুভূতি হয়, যা প্রায় ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশের নামিদামি আউটলেটগুলোতে দেখা মেলে আজজারো পারফিউমটির। তবে অনেক বিখ্যাত পুরুষই একটি পারফিউম ব্যবহার করে থাকেন। 



Wednesday, August 2, 2017

স্টাইলিশ হাত ঘড়ি


হাত ঘড়ির ব্যাপারটি এখন আর সময় দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ঘড়ির টাইম ঠিক থাক আর না থাক স্টাইলিশ ফ্যাশনের জন্য হাতে ঘড়ি থাকা চাই--চাই।


আপনার হাতেও যদি একটি স্টাইলিশ ঘড়ি থাকে তাহলে আপনার মন ভাল থাকবে আর ফ্যাশেনের মুড হবে একটু অন্য রকম। বর্তমানে বিভিন্ন বাজার অনলাইন মার্কেট প্লেস গুলোতে হরেক রকমের ফ্যাশনেবল হাত ঘড়ি পাওয়া যাচ্ছে।
ক্ষেত্রে বড় ডায়ালের হাতঘড়ি পছন্দের শীর্ষে। ফ্যাশন আর প্রয়োজন- দুই মিলিয়ে মানানসই হাতঘড়ির দিকেই আগ্রহ তরুণদের। মোটা চেইন আর বড় ডায়াল, এমন ঘড়িই তরুণদের পছন্দ, তবে টিনএজাররা স্পোর্টস ঘড়ি পরতেই বেশি পছন্দ করে।
ক্যাজুয়াল লুকের ক্ষেত্রে চেইন আর বড় ডায়ালের ঘড়িই বেশি জনপ্রিয়। আর ফরমাল লুকের ক্ষেত্রে ছোট ডায়ালের চামড়া বা চেইনওয়ালা ঘড়িই বেশি মানিয়ে
তার মধ্যে সিকো, টাইটান, রালফ লরেন, কেলভিন ক্লেইন, গুচি, রোলেক্স, ওমেগাক্যাসিও, টাইমেক্স, ট্যাগ হুয়ার অন্যতম। ডিজাইন এবং কোয়ালিটি ভেদে দাম একেকটির একেক রকম।
দাম পড়বে ২৫০০ থেকে ৩০০০০ টাকা পর্যন্ত। স্পোর্টস ঘড়ির মধ্যে এডিডাস অথবা নাইক পড়বে ২২০০ টাকা থেকে ১৫০০০টাকা। ওয়াটার প্রুফ ঘড়িগুলো ঘাম কিংবা পানিতে অনায়েসে ব্যবহার করা যায়। কিনতে ক্লিক করুন এখানে। 
মেয়েদের এখন চওড়া বেল্টের হাতঘড়ির দিকে বেশি ঝোঁক। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ব্রেসলেটের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন রং ডিজাইনের ফেন্সি হাতঘড়ি পরা এখন মেয়েদের ফ্যাশন।
রঙ-বেরঙের স্টোন মেটালের আকর্ষণীয় কারুকার্যখচিত স্বল্পদামের চায়নিজ ফেন্সি ঘড়ির মধ্যে ভিকসে, হাইয়ুকু, টেস, বিটিএল প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য। এগুলোর দাম ২০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। মেয়েদের অভিজাত ডিজাইনের হাতঘড়ির মধ্যে টাইটান এজেররাগা’ (৫০২৫ টাকা) খুব চলে। কিনতে ক্লিক করুন এখানে। 
ছাড়া সেন্টন (সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা), কিউ অ্যান্ড কিউ (৪০০ থেকে ২০০০ টাকা) ইত্যাদি ব্র্যান্ডেরও লেডিস ঘড়ি পাওয়া যায়। এগুলোয় রয়েছে লেদার, ধাতব চেইন, রাবার, জিনস ইত্যাদি উপাদানের বেল্টের চমৎকার সংযোজন। নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সে হাতঘড়ির দোকান রয়েছে।

ছাড়া বিভিন্ন গিফট শপে পাওয়া যাবে ফ্যাশনেবল ঘড়ি। ঘড়ি একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে অনেক বেশি বিকশিত করে থাকে। আজকাল মোবাইল ফোন ঘড়ির চাহিদা মেটালেও ঘড়ির প্রয়োজন ফ্যাশন হোক কাজের ক্ষেত্রে হোক; ঘড়ি তার একটা নিজস্ব জায়গা ধরে রেখেছে।
মানুষের চাহিদা ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজাইন স্টাইলে আধুনিক থেকে আধুনিকতর হয়েছে। তাই ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে স্টাইলের অনুষঙ্গ হিসেবে ঘড়ি অনেক জনপ্রিয়।